তারুণ্যলোক, জাবি
একজন দেহলভী, শিরোনামটা দেখে পাঠকরা হতবাক হতে পারেন। শিরোনামে উল্লিখিত দেহলভী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ৩৩ ব্যাচের এ শিক্ষার্থীর পুরো নাম দেহলভী রেজাউল। তবে সকলেই দেহলভী বলেই জানে।
অনেক সাবেক শিক্ষার্থী দেহলভীর বন্ধু ও বড় ভাই, ছোট ভাইয়েরা মনে করে দেহলেভীর কোন পরিবর্তন নেই। বড় ভাই ও বন্ধুরা মনে করে ২০০৪ সালে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত (২০১৫) দেহলভীর আচরণে কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
দেহলোভীর বন্ধু মোফাজ্জল হোসেন পাভেল জানান, ২০০৪ আর ২০১৫ কোন পরিবর্তন নেই। সেই হাসি খুশি আর আড্ডায় এখনো সকলকে মাতিয়ে রাখে দেহলভী।
আরেক বন্ধু মেহরাব হোসাইন সোহাগ জানান, ‘দেহলভীর সাথে আড্ডা মানেই হইহুল্লোর আর ক্যাম্পাসের অতীত স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া’।
জাবি ক্যাম্পাসকে এতোটাই ভালোবাসে যার দরুন এক ঘন্টার জন্য হলেও এখনো নিয়মিতই ক্যাম্পাসে আসে।
দেহলভীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার নবীপুরগ্রামে। ৫ ভােই ২ বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। লেখাপড়া শেষ করে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মেরুন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল” এর স্বত্তাধিকারি তিনি।
২৮ থেকে ৪৪ ব্যাচ সকল ব্যাচের কাছেই সমান জনপ্রিয় তিনি। ছাত্রজীবনে থাকতেন সালাম বরকত হলে। বিদ্যুত চলে গেলে রাতে আফম কামাল উদ্দিন হলের সাথে শহীদ সালাম বরকত হলের যে মৌখিক যুদ্ধ হতো অনেকটা সময় তার নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
দেহলভী নামের উৎপত্তি সম্পর্কে দেহলভী রেজাউল জানান, বাবার মুখে শুনেছি ” দেহ্ লভী” হচ্ছে দেহ্ মানে দিল্লি, আর লভী মানে অদিবাসী। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফী সাধক। ভারতবর্ষের ছিলেন। সেই থেকে দেহলভী। এখন ক্যাম্পাসে কারো কাছে দেহলভী আবার কেউবা দেহ বলেও ডাকে।
ক্যাম্পাস জীবন সম্পর্কে তিনি জানান, তার জীবনের সেরা সময় ক্যাম্পাসে কাটানো সময়।
তারুণ্যলোক/মাহি/এমএস