নাশিদা খান চৌধুরী
অনন্ত যৌবন নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রৌঢ়া
কী জ্বালা সাঙ্গ তার ভুবন !
এক ঝুলি স্বপ্ন মাখা এঁটো আঁচলে
গড়াগড়ি পান্তা-দুঃখ রোমন্থন ।
২.
ধুলোমাখা জটাচুল, ছানিচোখ স্বপ্নে বেভুল –
কায়া, ভ্রম, মায়া, মরীচিকা…
৩.
রাতদিন ঝাপসা অস্ফুট বাসনা,
প্রৌড়া খিলখিল হাসে,
সুঁচ খোঁজে বিগত হিসেব
কার ছায়া আবছায় ভাসে !
সুতো বোনে মিথ্যে প্রলেপ
নকশার প্রতি বাঁকে অতুষ্টি রচনা
৪.
ধরা দেবে না ক্ষরশ্বাস তবু উত্তাপে পড়ন্ত পূবাকাশ !
জটায় ধুলোর অধিক স্বপ্নে জেগে আছে
ছানিচোখ বারোমাস ।
৫.
স্বপ্ন ছাড়িয়েছে বলিরেখা কবে !
সাক্ষী !
সেসব ঝড়ে যতবার জেগেছে ত্বক
আড় ভেঙেছে সেই কুহুকেকা রবে ।
৬.
আবার জাগবে যৌবন
একাকিত্বের মৌবন…
চৌচির ঠোঁট,
কাঁপা কাঁপা হাত
পান্তা অসুখে
ঢুলছে প্রভাত !
৭.
কেমন করে ডুবে গেল মুঠো মুঠো শখ অনুরাগে !
মেলেনা কড়ের হিসেব…
আয়ুর খবরে প্রেতাত্মা কবে জাগে !
৮.
আকাঙ্ক্ষায় জরাবে বলে পান্তায় রাখে জ্যোতি,
তোমরা তারে পাগলি বলো !
আমি বলি সতী ।
৯.
ছিন্ন আঁচলের বলিরেখায় নকশার গড়াগড়ি ।
যৌবন শপথ অনন্তকালের !
প্রৌড়া দাঁড়িয়ে রয় হাসিমুখে
হাতে সোনালী সুতোর লাল জড়ি-শাড়ি ।।

DIGITAL CAMERA